ক্রাইমসিন ডেক্সঃ

মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার ৯ নং জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের ৬ , ৭ ও ৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির নেতৃবৃন্দের সাথে বৃহস্পতিবার দুপুরে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে চাঁদাবাজ দখলবাজ এবং দুর্নীতি মুক্ত মেহেন্দিগঞ্জ গড়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন প্রধান অতিথি বিএনপি নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য সাবেক সাংসদ আলহাজ্ব কাজী মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ ।

জাঙ্গালিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সহ সভাপতি আলম ভুইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সৈয়দ রফিকুল ইসলাম লাবু , জাঙ্গালিয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মোঃ দেলোয়ার হোসেন , মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক তারেক আজিজ , জাঙ্গালিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য মোঃ রফিকুল ইসলাম জমাদ্দার , জাঙ্গালিয়া ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সাকির আহমেদ প্রমুখ ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ফরহাদ বলেন , আমি জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে টি আর কাবিখা নিয়োগ বাণিজ্য থেকে সম্পূর্ণভাবে মুক্ত ছিলাম যার রাজস্বাক্ষী এলাকার তৃণমূল বিএনপির নেতাকর্মী এবং সাধারণ জনগণ ।

বরং জনপ্রতিনিধি হিসেবে বিনা টাকায় নিঃস্বার্থভাবে বিভিন্ন স্কুল এবং অফিসে শিক্ষিত বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছি । জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে বারবার আমার উপর হামলা করেও আমাকে দমিয়ে রাখতে পারেনি , আগামী দিনেও ষড়যন্ত্রকারীদের সকল ঘৃণ্য কূটকৌশল ছিন্ন করে এলাকার সন্তান হিসেবে আপনাদের সুখে দুঃখে পাশে থাকবো , বিপদে আপদে কাঁধে কাঁধ রেখে সকল পরিস্থিতি সাহসিকতার সাথে মোকাবিলা করবো । জাতীয়তাবাদী আদর্শ বুকে ধারণ করে জনগণের ভালোবাসা নিয়ে সকল রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে শেখ হাসিনার জালিমশাহীর আজ্ঞাবহ পেটোয়া পুলিশ বাহিনীর মামলা হামলা মাথায় নিয়ে সকল কর্মসূচীতে বিগত দিনে অংশগ্রহণ করেছি ।

কিন্তু জুলাই আন্দোলনে নিরস্ত্র নিরীহ ছাত্র জনতার রক্ত নিয়ে হোলি খেলা স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট কুখ্যাত খুনী ভোটচোর মাফিয়া হাসিনার দুঃশাসনের অবসানের পর আমরা কী দেখতে পেলাম , গিয়াস উদ্দিন দীপেন , আসাদুজ্জামান মুক্তা , সালাহ উদ্দীন পিপলু মেহেন্দিগঞ্জ বাজারে ৬ই আগস্ট লুটতরাজ চালিয়ে অসহায় ব্যবসায়ীদের জিম্মি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে ।

গোবিন্দপুর ইউনিয়নের মিজান মাঝি গোবিন্দপুর চর থেকে ১০ কোটি টাকা অবৈধভাবে আত্মসাৎ করেছে । মিল্টন চৌধুরী ডাক্তার মাহবুবের বাড়ীতে ডাকাতি করে সর্বস্ব লুটে নিয়েছে ।

এইসব চিহ্নিত সন্ত্রাসী আর ডাকাতদের নেতা হচ্ছে স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারী রাজীব আহসান । এই রাজীব আহসানকে বিগত ১৭ বছরে এলাকার জনগণ দেখেনি । সাধারণ মানুষের পাশে কখনো সে দাঁড়ায়নি । সে হচ্ছে বসন্তের কোকিল ।

গত ২৫ বছরে তার বাবার জানাজা ব্যতীত আর কারো জানাজার নামাযে অংশগ্রহণ করেনি । কোন সামাজিক অনুষ্ঠানে তাকে দেখা যায়নি । সুতরাং এলাকার মানুষ তাকে চেনেনা । এই রকম দুধের মাছিকে কেউ জনপ্রতিনিধি হিসেবে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেনা ।

ইনশা আল্লহ আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের মনোনয়ন পেয়ে এম পি নির্বাচিত হতে পারলে এই চাঁদাবাজদের বিচার আপনাদের চোখের সামনেই আমি সম্পন্ন করবো । অতএব আপনারা নির্ভয়ে ধানের শীষকে বিজয়ী করার মাধ্যমে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা দক্ষিণ এশিয়ায় সার্কের স্বপ্নদ্রষ্টা মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার জেডফোর্সের অধিনায়ক স্বাধীনতার ঘোষক বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা ১৯ দফা কর্মসূচীর স্রষ্টা সাবেক রাস্ট্রপতি মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের সহধর্মিণী বিএনপি চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী আপোষহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং তাঁর সুযোগ্য সন্তান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও সাংগঠনিক অভিভাবক তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে জনবান্ধব কার্যক্রম পরিচালনা অব্যাহত রাখুন । বিজয় আমাদের সুনিশ্চিত ।

এই সকল ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে আমি উপস্থিত হয়ে মামলা দায়েরের প্রেক্ষিতে খাস জমি বন্দোবস্তর ব্যাপারে দুই সপ্তাহের মধ্যে আদালতের পক্ষ থেকে সন্তোষজনক উত্তর চাওয়া হয়েছে ।